সাফ সেরা ফুটবলার সাগরিকার বাড়ি সংস্কার করে দেওয়া হবে

বাংলাদেশের নারী ফুটবলের নতুন মেধাবী-প্রতিভাময়ী ফরোয়ার্ড হচ্ছেন মোসাম্মত সাগরিকা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। তাদের ভাঙাচোরা বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি করে দিচ্ছে ঠাকুরগাঁও উপজেলা প্রশাসন। সাগরিকার এই সাফল্য উদযাপন করতে সাগরিকার বান্ধবীরা আসতে চাইছিলেন তাদের বাড়িতে। বিন্তু মেয়ের বান্ধবীদের এই আবদারে রাজি হতে পারেননি সাগরিকার মা আনজু আরা বেগম। কেননা তার বাড়ির যে অবস্থা, তাতে অতিথিকে বসানোর মতো অবস্থাও নেই। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দাবি উঠে, দেশের নারী ফুটবলের এই রত্নের বাড়ি মেরামত করে দেওয়ার। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাগরিকার বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন তাজুল ইসলাম, যিনি রাঙ্গাটুঙ্গি ফুটবল একাডেমির কর্ণধার এবং সাগরিকার আবিষ্কারক। তিনি নিজের ফেসবুকে এ নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, সাগরিকার বাবা-মাকে ঘর করে দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান। তবে রকিবুল নিজের টাকায় নন, উপজেলা প্রশাসনের টাকায় সাগরিকার বাড়িটি সংস্কার করে দেবে। তিনি বলেন, অনেক মিডিয়ায় দেখেছি ওদের জরাজীর্ণ বাড়ির খবর। তাই দুদিন আগে আমি সরেজমিন তাদের বাড়ি পরিদর্শনে যাই। তাদের বাড়িটি নতুন করে নির্মাণ করে দেওয়া হবে। এটা আমি ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে করছি না। উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাগরিকার পরিবারকে দুই রুমের একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
গাজার শিশুর আর্তনাদ মিসরীয় সেনাদের কাছে, ‘আমরা খেতে চাই’ (ভিডিও)

গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে খাবার চেয়ে চিৎকার করেছে এক ফিলিস্তিনি শিশু। কেউ একজন এই ঘটনাটি ভিডিও করেন। সেটিতে শিশুটিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা খেতে চাই, আমরা বাঁচতে চাই। কেন আমাদের খাবার নেই? আমরা খেতে চাই।’ জাতিসংঘের গাজাভিত্তিক সংস্থা গত কয়েকদিন ধরে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে যে, গাজার বেশিরভাগ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে এবং সেখানে দুর্ভিক্ষ খুবই সন্নিকটে রয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের শীর্ষ নেতারা বিরল বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যদি দখলদার ইসরায়েল গাজার রাফাহতে কোনো সামরিক আগ্রাসন চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যৌথ হামলা চালানো হবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এর এক মাস পর নভেম্বর থেকে গাজাবাসীর পক্ষে এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে ইসরায়েলি মালিকানাধীন এবং ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলা চালানো শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে হুথিদের বিভিন্ন অবকাঠামোয় যৌথ হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। এরপর থেকে এ দুটি দেশের জাহাজেও হামলা চালানো শুরু করে তারা।
‘রক্তাক্ত’ ইফতার অনুষ্ঠান গাজায়, মুহূর্তে নিহত হলেন ৩৬ স্বজন

কয়েকজন শহীদের লাশ ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে তোলা সম্ভব হয়নি। সেখানে কোন বুলডোজার বা ভারি বস্তু সরানোর কোন যন্ত্রপাতি নেই। নিহতদের একজন স্বজন একথা বলেন। তিনি হাত দিয়ে ধ্বংসস্তুপ সরানোর চেষ্টা করছিলেন। তার গায়ের কাপড় ঘামে ভিজে চপচপ করছিল। বাস্তুচ্যুত মধ্যগাজার তাবাতাবি পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার নুসেইরাতে ইফতারি করতে সমবেত হয়েছিলেন। ইসরায়েলি বামা হামলায় তাদের এ সম্মিলন শিগগিরই রক্তের বন্যায় পরিণত হয়। শনিবার বেঁচে যাওয়া একজন স্বজন এএফপিকে বলেন, ইফতার করার জন্য অপেক্ষমান ৩৬ রোজাদার এ হামলায় নিহত হন। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা সেখানে দুই ‘সন্ত্রাসী চক্রকে’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া আর কিছু বলেনি তারা। এদিকে ৭ অক্টোবর থেকে শুরু ইসরায়েলি হামলা, তান্ডব ও গণহত্যার শিকার হয়ে গাজার ২৪ লাখ মানুষের অধিকাংশই জান বাঁচাতে সর্ব দক্ষিণের রাফাহ অঞ্চলে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অঞ্চলটিতে স্থল হামলা অনুমোদন দেওয়ার পর সেখানে ভয়াবহ প্রাণহানির আশংকা করা হচ্ছে।
জার্মানি আগে ইহুদিবিদ্বেষী ছিল, এখন ফিলিস্তিনিবিদ্বেষী

বার্লিনের ফ্রেই ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের একটি দল গত ১৪ ডিসেম্বর ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে একটি সমাবেশের আয়োজন করেছিল। জার্মানিতে নজিরবিহীন ওই সমাবেশ অনুষ্ঠানে কেউ কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়,তবে তা ভালোভাবে শেষ হয়নি। ফিলিস্তিন ইস্যুতে ছাত্রদের সমাবেশের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডেকে এনে আন্দোলনরত ২০ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করায়। পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উভয়েই অবশ্য বলেছে যে ছাত্রদের এই বিক্ষোভে ইহুদি বিরোধী বা বর্ণবাদী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলেছে, শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ কর্মসূচিকে অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এমনকি আটক শিক্ষার্থীদেরকে জার্মান থেকে বহিষ্কারের জন্য ২৬ হাজার মানুষের স্বাক্ষরিত সম্বলিত একটি আবেদনপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। জার্মানির সরকার ও উগ্রবাদি ব্যক্তিরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শনকারীদের উপর হামলা করে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের সমর্থনে যেকোনো সমাবেশ আয়োজনকারীদেরকে এবং সরকারের সমালোচনাকারী বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হয়রানি ও নির্যাতন করা কিংবা দেশ থেকে বের করে দেয়ার পক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জার্মানির বর্তমান সরকার নাৎসি যুগের বিরুদ্ধে হলেও তারা নাৎসিদের মতোই আচরণ করছে ভিন্ন উপায়ে ভিন্ন কৌশলে। ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভকারীর হাতে একটি প্ল্যাকার্ড যাতে লেখা ছিল, একটি হলোকাস্ট আরেকটি গণহত্যাকে সমর্থন করা যায় না। জার্মান সরকার গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায়কেও উপেক্ষা করেছে। বর্ণবাদী ইসরায়েলের জুলুম নির্যাতন ও আগ্রাসনকে চোখ বুজে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে বার্লিন।
দেশকে পুড়িয়ে ধ্বংসের রাজনীতি করে বিএনপি জামাত: নাছিম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম মন্তব্য করে বলেন, এরা বহির্বিশ্বের আদালত কর্তৃক রায় পাওয়া সন্ত্রাসী সংগঠন। দেশের অগ্রযাত্রাকে বাধা দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী কায়দায় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করছে তারা। এই বিএনপি জামাত সংগ্রামের নামে দুষ্কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, তারা দুর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে এরাই বিশ্ব সভায় আমাদের মাথাকে হেট করে দিয়েছিল। শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু বিদস-২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কলেজ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। সরকারের সমালোচনা বা বিরোধিতা থাকতেই পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে সে বিরোধিতা যদি দেশের বিরুদ্ধে, দেশের ১৭ কোটি মানুষের বিপক্ষে হয় অবশ্যই সেটি মেনে নেওয়া যায় না বলে বিএনপি-জামাতকে হুঁশিয়ারি দেন । তিনি আরও বলেন, উপমহাদেশের ভিতরে বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যে দেশটি উন্নয়ন, অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্থান পেয়েছে। দেশের মানুষের যে প্রত্যাশা, সে প্রত্যাশা পূরণের একমাত্র আস্থাশীল ঠিকানা হল দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্নপূরণের জন্য আমাদেরকে দল-মত নির্বিশেষে সকলকেই কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় জাতির পিতার কথা স্মরণ করে নাছিম বলেন, জাতির পিতার আগমনের মধ্য দিয়ে আমাদের এই পবিত্র মাতৃভূমি সেদিন আলোকিত হয়েছিল। সিদ্ধেশ্বরী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ জুলহাস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি, সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম ,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল বাশারসহ কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ডিপ ফেইক ভিডিও তৈরি করে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বিএনপির নামে, অভিযোগ রিজভীর

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, সম্প্রতি সরকারপন্থী কয়েকটি অনলাইন প্লাটফর্ম এবং মিডিয়া আউটলেট থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় এর জুম মিটিংয়ে দেয়া বক্তব্যকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে বিকৃত ডিপ ফেইক ভিডিও তৈরি করে দেশে-বিদেশে থাকা বিএনপির শুভানুধ্যায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আবার সেই চাঁদাবাজির ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, শুধু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই নন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সম্মানিত সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়েও একই ধরনের ডিপ ফেইক ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। বিএনপি তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় ফেসবুক এবং ইউটিউবে থাকা এমন ডিপ ফেইক ভিডিওগুলোকে শনাক্ত করে সেগুলো অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এহেন রীতিবিরুদ্ধ অশালীন ও অপকর্মের হোতারা হয়তো এইসব ভিডিও দিয়ে মেসেজ আদান-প্রদানকারী এ্যাপ মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো বা ভাইবার ব্যবহার করে আবারো এমন তৎপরতা চালাতে পারে। বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ দেশ-বিদেশের সকল মানুষকে অবহিত করে রিজভী বলেন, আপনারা এ সকল ডিপ ফেইক ভিডিও থেকে সতর্ক থাকবেন। বিএনপির কোনো নেতা কখনোই এভাবে ভিডিও কল করে কারো কাছে টাকা চাইবেন না এই বিশ্বাসটা আপনাদের নিজেদের মধ্যে রাখবেন। কেউ যদি এভাবে ভিডিও কলে আপনাদের কাছে টাকা চায় তাহলে সাথে সাথে সেটা দলীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করুন যাতে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। [৬] বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, আওয়ামী লীগের হয়ে বিরোধীদলকে হেয় করার জন্য এহেন অপতৎপরতার নেতৃত্ব দিচ্ছে নাহিদ রেইন নামে একজন প্রতারক ও জেল খাটা দাগি অপরাধী। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই দাগি অপরাধীকে অনলাইনে এবং অফলাইনে প্রকাশ্যে প্রমোট করছে ভিন দেশের প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি। নাহিদ রেইন এর টুইটার হ্যান্ডেলের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করলেই এই দুঃখজনক অপকর্মের সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় তিনি, ডিপফেক ভিডিও তৈরি করে বিএনপি নেতৃবৃন্দের নামে চাঁদাবাজির অপরাধে অবিলম্বে নাহিদ রেইন নামক প্রতারক দুষ্কৃতিকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সাহিদা রফিক, তাহসিনা রুশদী লুনা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং প্রমুখ।
চিরদিন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস বঙ্গবন্ধু: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম মানেই হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্ম হতো কিনা সন্দেহ যদি এই জনপদে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতার জন্ম না হতো বলে উল্লেখ করেন তিনি। রোববার ( ১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সকল দুর্যোগে, সংকটে বঙ্গবন্ধু আমাদের চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকবেন। তিনি বাঙালির দুঃখ কষ্টে একমাত্র বাতিঘর। যিনি আমাদের অবিরাম পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতা দিয়ে তিনি যে উত্তরাধিকার রেখে গেছেন তিনি না থাকলেও তার সেই উত্তরাধিকারের কোনদিন মৃত্যু হবে না। এই লিগ্যাসি অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে। তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিরাম লড়াই করে যাবো। আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার উন্নত সমৃদ্ধ স্মা্ট বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভিযাত্রা অব্যাহত রাখবো।
প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা প্ররোচনার: ডিএমপি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জাানয়েছেন ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা নজরদারিতে ছিলেন। কুমিল্লার কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কুমিল্লা জেলা পুলিশের কাছে আজকে(রোববার) তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার তদন্তে এখন তারা বিশদভাবে খতিয়ে দেখবেন যে, তাদের প্ররোচনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা কতখানি গভীর। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামের জড়িত থাকার বিষয়টির খণ্ডিত সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে সব অভিযোগ পূর্ণাঙ্গ এবং যেভাবে কথা আসছে সেভাবে মিলে গেছে এমনটা বলা যাবে না। তিনি বলেন, তবে প্রাথমিকভাবে সত্যতা আছে বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এই সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতখানি সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমাদের যতটুকু কাজ ছিল সেটুকু আমরা করে দিয়েছি, এখন কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা পুলিশ তদন্ত করবে। ড. মহিদ উদ্দিন আরও বলেন, গতক রাতে অবন্তিকার মা তসলিমা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দুজনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযুক্তদের কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গাজায় শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, কোথায় বিশ্বমানবতা: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের অবস্থান বরাবরই নিপীড়িতদের পক্ষে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকেই শিশু অধিকার-মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকেন। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলায় যখন বহু শিশু মারা যাচ্ছে, তখন বিশ্বমানবতা কোথায়? রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি। এর আগে একই দিন ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ। গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন। আজকের শিশুদের আগামী দিনের উন্নত বাংলা গড়ার কারিগর হিসেবে দেখতে চান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, পড়াশোনার নামে চাপ নয়, মেধা-মননের বিকাশই গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকদের উদ্দেশ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, মেধা-মননের সুযোগ যাতে শিশুরা পায়, পড়াশোনার নামে চাপ তৈরি করবেন না। সেভাবেই আমরা কারিকুলাম করছি। শেখ হাসিনা বলেন, শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি। আজকের শিশুরা গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার। অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার আর অসচ্ছল মেধাবীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।